কলোনি, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ, হিন্দুত্ববাদ, কিংবা ফ্যা'সিবা'দ?
প্রিয় জন্মভূমি, প্রিয় বাংলাদেশের জন্য কোনটি সুখকর?
বাংলাদেশ কি আদৌ এই অক্টোপাসদের নিকট থেকে কোনোদিন স্বাধীনতা পেয়েছে? ভবিষ্যতে পাবে? বিদেশী তাবেদার ও ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫২, ৭১, ৯০, ১৩-তে যারা ত্যাগের নজরানা পেশ করেছিলেন, তারা কি এমন একটি স্বাধীনতার মোড়কে পরাধীন স্বদেশ চেয়েছিলেন?
মুক্তির অনেক সুযোগ ছিলো। কিন্তু মুক্তি পায়নি। ভবিষ্যতে পাবে বলেও মনে হয় না। কারণ এদেশের কথিত শাসকরা কোনোদিন নিজেদের যোগ্যতা ও রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত জনগনের শক্তির ওপর আত্মবিশ্বাস রাখতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে কেউ দৌড়ায় সা'ম্রা'জ্য'বা'দ পাড়ায়। কেউ দৌড়ায় আ'ধিপ'ত্যবা'দ পাড়ায়। এই ডানপাড়া কিংবা বামপাড়া এসবই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
দৌড়াদৌড়ির ফল- এ রাষ্ট্র কিছু দালাল, লেন্দুপ দর্জি আর হীরক রাজা তৈরি করছে। সাথে দর্জি আর রাজাদের সুবিধার্থে জেনারেশনের ব্রেইনকে শুধুমাত্র তৈল উৎপাদন ও ব্যবহারের কাজে লাগানো হয়েছে। খুবই পরিকল্পিতভাবে প্রজন্মের চিন্তা শক্তিকে বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে চিন্তার ঐক্যের কথা বললেই একটা জেনারেশন কোনো যুক্তি ছাড়াই 'চে'তনার মুলা' ঝুলিয়ে দেয়। হীরক রাজারা তৈলের এত নিখুঁত সিস্টেম চালু করেছে যে, তৈল ছাড়া সমাজের কারো জীবন আর চলে না। রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সমাজে টিকে থাকার একটাই মাধ্যম "তৈল"।
এ রাষ্ট্রের বিনির্মাণের জন্য করণীয় কী?
বীরত্বের প্রতিক তিতুমীরের রেখে যাওয়া বাঁ'শের উৎপাদন বাড়াতে হবে। শুধুমাত্র "তিতুমীরের বাঁ'শ প্রজন্ম" (মেধা, সাহস ও বাঁ'শ)-ই পারবে এই রাষ্ট্রকে আ'ধিপ'ত্যবা'দীদের নিকট থেকে রক্ষা করতে। ভাবনার বিষয় হলো, প্রজন্ম কি তিতুমীরের সেই বাঁ'শের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হবে?
কবি ফররুখের কালজয়ী কবিতার লাইন :
"তোরা চাসনে কিছু কারো কাছে
খোদার মদদ ছাড়া
তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে
নিজের পায়ে দাঁড়া"
(----আশাবাদী পথিক)
মন্তব্য